Friday 3 July 2015

i-gen প্রতিযোগিতা মেহেরপুর

মেহেরপুর জেলায় গতকাল বৃষ্টিমুখর দিনে আই জেন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অবশেষে তীব্র লড়াইয়ের পর জেলার শীর্ষ স্কুল সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজ কে নির্বাচিত করা হয়। এবং সেরা ৫ জনকে জেলার প্রতিনিধি হিসেবে সিলেক্ট করা হলো

Wednesday 1 July 2015

মোবাইলের বিভিন্ন সেন্সরের কাজ

প্রযুক্তি বাজারে নিত্য নতুন নানা
প্রযুক্তি পন্যের সমাহার। সেই সাথে
রয়েছে নানাবিধ পন্যের প্রচুর
চাহিদাও। তবে নিঃসন্দেহে বলা
যায় স্মার্ট ফোন রয়েছে চাহিদার
শীর্ষে। ভোক্তার অব্যাহত চাহিদার
কথা চিন্তা করে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান
গুলও চেষ্টা করে যাচ্ছে তাদের পন্যে
নতুন নতুন প্রযুক্তির সমাবেশ ঘটাতে। আর
তারই প্রেক্ষিতে বর্তমানে স্মার্ট
ফোন গুলয় ব্যাবহার করা হচ্ছে বিভিন্ন
সেন্সর, যাদের কাজও বিভিন্ন। আজকে
আপনাদের কে জানাতে চেষ্টা করব
স্মার্ট ফোনের ব্যাবহৃত সেন্সর গুলোর
নাম এবং তাদের কাজ সম্বন্ধে।
তাহলে চলুন শুরু করি।
১) এক্সিলারমিটারঃ
এক্সিলারমিটার একটি হার্ডওয়্যার
বেইজড সেন্সর। মূলত এটি মাইক্রো
মেকানিকাল ডিভাইস, যেটি কোন
বস্তুর অবস্থান, গতি প্রকৃতি, কম্পন, ত্বরণ
ইত্যাদি পরিমাপ করতে ব্যাবহার করা
হয়। বিভিন্ন ধরনের এক্সিলারমিটার
রয়েছে, যেমন এক অক্ষ, দ্বি অক্ষ বা ত্রি
অক্ষ বিশিষ্ট এক্সিলারমিটার।
তারমদ্ধে ত্রি অক্ষ বিশিষ্ট
এক্সিলারমিটার সবচেয়ে
শক্তিশালী। এটি খুব সহজেই ফোনের
অরিয়েন্টেশন বুঝতে পারে। অর্থাৎ
আপনার ফোনে এক্সিলারমিটার
সেন্সর অন করে যদি আপনি আপনার ফোন
কে কাত করে ‘ল্যান্ডস্কেপ’ অথবা
‘পোরট্রেইট’ করে ধরেন, তাহলে সেটি
অনুযায়ী আপনার স্ক্রিনটি পরিবর্তিত
হবে। অনেক সময় আমাদের ফোনের
অরিয়েন্টেশন পরিবর্তন করার দরকার
পরে। যেমন- ওয়েব ব্রাউজিং, ভিডিও
দেখা, গেইম খেলা, বই পড়া বা টেক্সট
পাঠানো। এসব ক্ষেত্রে ‘পোরট্রেইট’ মুড
এর চেয়ে ‘ল্যান্ডস্কেপ’ মুড ব্যাবহার
করা বেশী আরামদায়ক।
এক্সিলারমিটারের কল্যাণেই আমরা
সহজে মুড সুইচ করতে পারি।
এক্সিলারমিটারের আরও কিছু জনপ্রিয়
ব্যাবহার রয়েছে। যেমন মিউজিক
প্লেয়ার কন্ট্রোল করা (সেক টু চেঞ্জ),
গেইমিং এর সময় কি প্রেস না করে শুধু
টিল্ট করে কন্ট্রোল করা, কিংবা বাটন
প্রেস না করে শুধু ফ্লিপ করে রিঙ্গার
অফ করা (ফ্লিপ টু মিউট) ইত্যাদি।
মোদ্দা কথা, এক্সিলারমিটার
আমাদের ফোনের অরিয়েন্টেশন কে
বুঝতে পারে এবং সেটি পরিবর্তনের
সাথে সাথে নতুন অরিয়েন্টেশনের
সাথে ফোন কে খাপ খাইয়ে নিতে
সাহায্য করে।
২) এম্বিয়েন্ট লাইট সেন্সরঃ এটিও
একটি হার্ডওয়্যার বেইজড সেন্সর। স্মার্ট
ফোনে বা ট্যাবলেট পিসি তে
সেন্সরটি ব্যাবহার করা হয় এর ডিসপ্লে
ব্রাইটনেস অ্যাডজাস্ট করার জন্য। এই
সেন্সরটি তৈরি করতে ব্যাবহার করা
হয় বিভিন্ন ফটো সেল, যেগুলো আলোক
কনার প্রতি সংবেদনশীল। আপনি যে
পরিবেশে আছেন, সেন্সরটি সে
পরিবেশের আলোর উপস্থিতি ধরতে
পারে। যেমন, আপনি যখন কোন অন্ধকার
রুম বা বদ্ধ অন্ধকার পরিবেশে যাবেন
তখন সেন্সরটি আপনার ডিসপ্লে
ব্রাইটনেস বাড়িয়ে দিবে, যাতে
করে আপনি অনায়াসে ডিসপ্লে
দেখতে পান। আবার, যখন আপনি কোন
উজ্জ্বল আলোকময় পরিবেশে যাবেন,
যেমন দিনের বেলায় বা সূর্যের
আলোতে এটি আপনার ডিভাইসের
ডিসপ্লে ব্রাইটনেস কমিয়ে দিবে,
কেননা সূর্যের আলোতে বা দিনের
বেলায় আপনি এমনিতেই ডিসপ্লে
ভাল দেখতে পাবেন। এতে করে
আপনার ডিভাইসের ব্যাটারিও সাশ্রয়
হবে। যেসব স্মার্ট ফোনে অটো
ব্রাইটনেস অপশন আছে, সেগুলো
সবগুলোই এম্বিয়েন্ট লাইট সেন্সরের
মাধ্যমে কাজ করে।
৩) প্রক্সিমিটি সেন্সরঃ প্রক্সিমিটি
সেন্সর স্মার্ট ফোনের জন্য অত্যন্ত
প্রয়োজনীয় একটি সেন্সর। এটিও একটি
হার্ডওয়্যার বেইজেড সেন্সর। এটি
আপনার স্মার্ট ফোনের তুলনায় কোন বস্তু
কত দূরে বা কাছে রয়েছে সেটি
ডিটেক্ট করতে সক্ষম। স্মার্ট ফোন
থেকে আপনার শরীর কতদূরে রয়েছে
এটি সেন্স করেই প্রক্সিমিটি সেন্সর
বুঝতে পারে আপনি যখন আপনার ফোন
কানের কাছে নিয়ে জান, এবং তখন
স্বয়ংক্রিয় ভাবেই ফোনের ডিসপ্লে
লাইট অফ হয়ে যায়, যাতে করে আপনার
ব্যাটারি খরচ কম হয়। শুধু তাই নয়, এ সেন্সর
অ্যাক্টিভ হবার ফলেই আপনি যখন
ফোনে কথা বলেন তখন যদি আপনার
ফোনের স্ক্রিনে অসাবধানতাবশত টাচ
লেগে যায় তাহলে কোন কাজ করবে
না। অর্থাৎ, আপনি যতক্ষণ কথা বলবেন
ততক্ষণ এটি আপনার ফোনকে
অপ্রয়োজনীয় কাজ করা থেকে রক্ষা
করবে। আপনি কানের কাছ থেকে
ফোনটি সরিয়ে নিলেই পুনরায়
ডিসপ্লে লাইট ফিরে আসবে।
৪) কম্পাস/ ম্যাগনেটোমিটার/
ম্যাগনেটিক সেন্সরঃ সহজভাবে
বলতে গেলে কম্পাস বা ম্যাগনেটিক
সেন্সর পৃথিবীর মেরুর সাথে সম্পর্কিত।
সেন্সরটিতে একধরনের চুম্বক বা
ম্যাগনেট ব্যাবহার করা হয় যা পৃথিবীর
ম্যাগনেটিক ফিল্ড বা চুম্বক ক্ষেত্রের
সাথে ক্রিয়া করে এবং পৃথিবীর সেই
দিক কে নির্দেশ করে। মূলত
ন্যাভিগেশন এর ক্ষেত্রে ব্যাবহার
করা হলেও আজকাল স্মার্ট ফোনে বেশ
ভাল ভাবেই ম্যাগনেটিক সেন্সর
ব্যাবহার করা হচ্ছে। তবে, স্বল্প দামি
স্মার্ট ফোন গুলোতে এই সেন্সরটির
ব্যাবহার খুব বেশী লক্ষ করা যায় না।
যেসব ফোনে ন্যাভিগেশন ফিচারটি
রয়েছে, কেবল সেসব ফোনেই এই
সেন্সরটির উপস্থিতি লক্ষ করা যায়।
মোট কথা, পৃথিবীর বিভিন্ন মেরুর
সাথে তুলনা করে আপনার অবস্থান
কোথায়, এটি দেখানই ম্যাগনেটিক
সেন্সর এর কাজ।
৫) গাইরোস্কোপঃ কৌণিক ত্বরণের
উপর ভিত্তি করে কোন কিছুর অবস্থান
নির্ণয় বা পরিমাপ করার জন্য যে যন্ত্র
ব্যাবহার করা হয় তাই গাইরোস্কোপ।
অর্থাৎ, স্মার্ট ফোনে ব্যাবহৃত
গাইরোস্কোপ, প্রতিটি অক্ষের ঘূর্ণন
গতি পরিমাপ করে থাকে। অন্যভাবে
বললে কোন বস্তু কি হারে, কত দ্রুত
কোনাকুনি ভাবে ঘুরবে সেটি নির্ণয়
করা গাইরোস্কোপ কাজ। শুধু তাই নয়,
এক্সিলারমিটার এবং গাইরোস্কোপ
একত্রে ব্যাবহারের ফলে একটি স্মার্ট
ফোনে মোট ৬ টি অক্ষে মোশন সেন্স
করতে পারে যা শুধুমাত্র
এক্সিলারমিটারের তুলনায় অনেক
বেশি অ্যাকুরেট রেসাল্ট দিতে সক্ষম।
তবে ব্যায়বহুল হবার কারনে সব স্মার্ট
ফোনে গাইরোস্কোপ দেয়া থাকে
না। আমার জানা মতে অ্যাপলের আই
ফোন ৪ ডিভাইসটি তেই সর্বপ্রথম বিল্ট
ইন গাইরোস্কোপ দেয়া হয়।
এছাড়াও আরও অনেক সেন্সর রয়েছে
যেমন, থার্মাল সেন্সর, ব্যাক
ইলুমিনেটেড সেন্সর ইত্যাদি। তবে
বেশি প্রচলিত না হবার কারনে
এখানে বিস্তারিত আলোচনা করা হল
না। পরবর্তীতে এসব নিয়ে আবার
আলোচনা করব।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ অনেকে প্রশ্ন করতে
পারেন ‘মোশন সেন্সর’ কোথায় গেল?
আসলে মোশন সেন্সর কোন একক সেন্সর
নয়। এক্সিলারমিটার, প্রক্সিমিটি,
গাইরোস্কোপ এগুলো সবই মোশন সেন্সর।
আর একটি কথা, স্মার্ট ফোনের সেন্সর
গুলো সম্পর্কে আমার নিজেরও খুব স্বল্প
আইডিয়া ছিল। গুগল এ সার্চ করে সেরকম
সহজ বোধগম্য বিস্তারিত আর্টিকেল
পাই নি কেবল দুটি আর্টিকেল ছাড়া।
লেখাটি তৈরিতে আমি আর্টিকেল
দুটির সাহায্য নিয়েছি।
লাইট সেন্সর এর কাজ নিয়ে অনেক
মতামত, সাজেশন দেখতে পাচ্ছি ।
আমার আগের ডিভাইস টিতে দেখে
আমার কাছে মনে হয়েছিল অল্প
আলোতে লাইট বাড়ে আর বেশি
আলোতে কমে। এছাড়াও আমি যে দুটি
আর্টিকেল দেখে ডকটা তৈরি করেছি
সেখানে একটি আর্টিকেলে আমার
মতই মতামত দিয়েছে। অন্যটিতে উল্টো
কথা বলা আছে। কাজেই ডকটি এডিট
করছি না। এতটুকু জানলেই হবে যে লাইট
সেন্সর বাহ্যিক পরিবেশের লাইটের
সাথে সামঞ্জস্য রেখে অপ্টিমাম
ভিশন নিশ্চিত করে, পাশাপাশি
ব্যাটারি সেভ করতেও হেল্প করে।
আসলে সবার মতামতই সঠিক ।